ফারুক আহমদ উখিয়া::
উখিয়ায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা কেন্দ্রে হল সুপার ও কেন্দ্র সচিব ও দায়িত্ব বন্টন নিয়ে ব্যাপক বৈষম্য ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনা নিয়ে সচেতন অভিভাবক মহল ও নাগরিক সমাজ মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। সুশীল সমাজের অভিমত পক্ষপাতিত্ব ও নীতির পরিপন্থী মাধ্যমে দায়িত্ব বন্টনের ঘটনায় সুষ্ঠু পরীক্ষা গ্রহণে কতটুকু যৌক্তিক হবে তা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার ধর জানান কোথাও অনিয়ম ও অসঙ্গতি দেখা দিলে তা প্রমাণিত হলে অবশ্যই সে ব্যাপারে দৃষ্টি দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে আমরা কোন পক্ষপাতিত্ব আশ্রয় নেব না। উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায় আগামী ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় এবারে ৪ হাজার ৩ শত ৫৫জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছেন। পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে ৫টি ইউনিয়নে ১৪ টি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেক শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন শিক্ষা অফিসের সাথে গোপন আঁতাত করে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে হল সুপার ও কেন্দ্র সচিব দায়িত্ব বন্টন করা হয়েছে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে। পরিচিত কয়েকজন শিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগ করেছেন শিক্ষকরা। বিশেষ করে উপজেলার সোনারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্র, জালিয়াপালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্র ও রাজাপালং সরকারি পরীক্ষা কেন্দ্র। এসব কেন্দ্রে আক্তার হোসাইন, সৈয়দ কাশেম ও এসএম কামাল উদ্দিনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায় শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে শিক্ষা অধিদপ্তর বেশ কিছু নীতিমালা জারি করেছেন। তৎমধ্যে এক ইউনিয়নের শিক্ষক ভিন্ন ইউনিয়নে দায়িত্ব পালন করতে হবে। গুরুত্ব অভিযোগ উঠেছে এই তিনটি কেন্দ্রে একই ইউনিয়নের শিক্ষককে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়ে। এ অসংগতি দেখে অভিভাবক মহল ও সচেতন নাগরিক দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উখিয়া উপজেলা সরকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মুকতার আহমদ বলেন শিক্ষকদের দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে ও যোগাযোগ ব্যবস্থা মাথায় রেখে কয়েকটি কেন্দ্রে শিক্ষকদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তা সব কেন্দ্রে নই। তবে এতে কোন বৈষম্য কিংবা স্বজনপ্রীতি করা হয়নি।
কয়েকজন অভিভাবক বলেন একই ইউনিয়নের শিক্ষক নিজ এলাকায় পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের সুযোগ কিংবা দায়িত্ব বন্টন করে দেওয়া নীতিমালা পরিপন্থী। অনেকেই বিষয়টি ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখতেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার ধর জানান হল সুপার ও কেন্দ্র সচিব দায়িত্বপালনকালে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ওই স্কুলের শিক্ষক না হলেই চলবে। কিন্তু শ্রেণিকক্ষে দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষক ভিন্ন ইউনিয়নের হতে হয়।
এদিকে খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে গেল বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার মানবন্টন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছি। কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজস ও আঁতাত করে এসব অনৈতিক কাজ করে যাচ্ছে। নাগরিক সমাজ বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
পাঠকের মতামত